শিল্পী

শাহ জামাল উদ্দিন

যদি শিল্পী হতাম
তোমার বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে দিতাম।

এমনি করে তুলির তিনটি আঁচড়ে
আঁকতাম একটি নদী
সাড়ে তিন আঁচড়ে
একটি আলুথালু চুলে একপেচে শাড়ি পরা কিশোরী
আর ঠিক আড়াই আঁচড়ে
আকাশে একটি পাখি ।

তারপর একটু তেরসা করে প্রথমে কবির‌ নাম
তার নীচে বইটির নাম
এক অখন্ড রেখায় লিখে দিতাম।

আমাকে হারাতে না চাইলে

শাহ জামাল উদ্দিন

তোমাকে যে রাত্রি জাগতে হবে
আর আমার উচ্ছল উৎসব গুলো
কুড়িয়ে আনতে হবে
অতীতের সবুজ মাটি থেকে
আমাকে হারাতে না চাইলে ।

আমিও তাই করি-
কখনো হারাই না আমি
বারবার ফিরে যাই অতিতের কাছে
সবুজ মাটির কাছে ।

ইচ্ছে করেই নিজেকে ব্যার্থ করে দেই
ইচ্ছে করেই নিজেকে বিলুপ্ত করি
তারপর কবিতায় তোমার নাম লিখি ।

যখন আমার কথায় কোন শব্দ হয় না
তখন কারো স্পর্শে কেঁপে উঠি
কেউ একজন রাত্রি জেগে আছে আমি দেখি ।

তুমি কি সেই-
বুক ভরে যার সুগন্ধ নেই ।

সেই ছবি

শাহ জামাল উদ্দিন

আমি আজো দেখি সেই ছবি
মনে হয় তুমি
সন্ধ্যার বাতাসে উড়ে আসা প্রজাপতি
আগেকার সেই ত্রিশ বছর
সাথে করে হাঁটি দিন রাত্রি ।

ঘুমাবার আগে দেখি
মন খারাপ হলে দেখি
তোমাকে আবার পাবার জন্য দেখি
-সেই ছবি ।

কেমন আছো তুমি ?

শাহ জামাল উদ্দিন

কেমন আছো তুমি ?

তোমার সেই বাকানো চুলগুলো
ঝুমকো লতার মতন
এখনও কি চুমো খায় বাতাসে
নাকি বিষধর সাপের মতন ফনা তুলে আছে
জীবন বদলে যাওয়ার ক্রোধে
জানতে ইচ্ছে করে ।

নরমে শরমে কাছে আসতে বৃষ্টিভেজা সেই তুমি
হাতে সোনালী চুড়ি আজো দেখি ।

কেমন আছো তুমি ?

কবি পরিচিতি

BanglaKobita

শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।

১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত

ফেসবুক পেইজ

কবিতা আবৃত্তি