কী দিয়ে যাবে তুমি

শাহ জামাল উদ্দিন

আমাকে কী দিয়ে যাবে -
ভালোবাসার মত এত ভালো কিছু
আর পাবো না হাতের কাছে ।

এই বিপন্ন গাছকে ছায়া দিবে কে
অন্তর পূর্ণ করে
একটা চিঠি লিখলেই কি সব পাওয়া হয়ে যাবে !

আমার সু-সময় তুমি ছিলে-
বসন্ত ঋতু নিয়ে চলে গেলে
করুন দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই থাকবে না
আমার কাছে ।

আমাকে কী দিয়ে যাবে -
ভালোবাসার মত এত ভালো কিছু
আর পাবো না হাতের কাছে ।

মনে মনে

শাহ জামাল উদ্দিন

একবারও কি পড়ল মনে সারাদিনে
একটু হাসি আনবো কিনা
তোমার জন্যে খবর পাঠাই মনে মনে ।

আমি কিন্তু চুপ থাকিনা আমি কিন্তু চোখ বুজিনা
খুঁজতে থাকি বুকের মাঠে
দেখতে থাকি পাখির ভীড়ে
কোথায় আছ কেমন আছ
দিনের খাতায় লিখে রাখি ।

তুমি হলে সোনালি এক মৌয়ের মাছি
তুমি হলে হরিন পায়ে
বয়ে যাওয়া শান্ত নদী ।

তোমায় আমি দেখতে থাকি
তোমায় আমি খুঁজতে থাকি মনে মনে
একবারও কি পড়ল মনে সারাদিনে ।

ভায়োলিন

শাহ জামাল উদ্দিন

আজ তুমি আমাকে কিছুটা বদলে দাও
আমার যা কিছু ভুল ছিল
সবগুলো ভুল শুধরে দাও।

আবার আমি বর্ণমালার নদীতে শৈশব পার করবো
তোমাকে নিয়ে ।

কৈশরে আমাকে নিয়ে যাবে তুমি
কাশফুলের সাথে পরিচয় করাবে নতুন করে
কচুরীপানার ফুলগুলো
তুলবো আমরা দুজনে একসাথে ।

যৌবনের জরুরী চিঠিগুলো পড়ে পড়ে
শুনাবে আমাকে
যে গুলো পুরনো বাক্সের ভিতরে
আজও অখোলা রয়ে গেছে ।

গোলাপের রঙ
ভালোভাবে দেখিনি এতদিন
ঘাসফুলের কাছে যেতে যেতে
কেটে গেছে বহুদিন
তুমিই আমার বুকের প্রথম ভায়োলিন ।

আজ তুমি আমাকে কিছুটা বদলে দাও
আমার যা কিছু ভুল ছিল
সবগুলো ভুল শুধরে দাও।

ভালোবাসার প্রথম পাঠ

শাহ জামাল উদ্দিন

ভালোবাসার অ আ শিখছিলাম
প্রকৃতির পরামর্শে
বাতাসে এসে উল্টে ফেলে বারে বারে
যেন সব দুষ্ট ছেলে ।

পড়ে গেছি অস্তিত্ব সংকটে
অথচ দাড়িয়ে আছি
মূল্যবোধের দরজা খুলে ।

ভালোবাসা শেখা হলোনা
এ জীবনে অবশেষে ।

কবি পরিচিতি

BanglaKobita

শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।

১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত

ফেসবুক পেইজ

কবিতা আবৃত্তি