হজকিং লিম্ফোমা

শাহ জামাল উদ্দিন



দুস্প্রাপ্য ব্যাধির (হজকিং লিম্ফোমা) হাত থেকে
ফিরিয়ে এনেছো আমাকে
অনেক যাতনা সয়ে তোমার অনল উদ্যানে
আমি শুধু বেঁচে থাকবো তোমার জন্যে

আশংকার কালো মেঘে চড়ে যখন অনেকগুলো দুর্দশা
নেমে আসে আমার জীবনে
তখন তোমাকে দেখি ব্যক্তিগত জায়নামাজে
ছলছলানো জলের চোখে
তুমি সুসময় ডেকে আন আমার ভূবনে
আমার সবটুকু বেঁচে থাকা তোমারই জন্যে

তোমার মধুর অন্তঃপুরে জীবন আমার তাকায় আকাশ জুড়ে
সবটুকু ক্লান্তি মুছে
আমি যখন কষ্টে থাকি কত কী বিদ্যা শিখাও আমাকে তুমি
আমি জায়নামাজে বসে বিধাতার পায়ে পড়ি
অল্পতে আমি সুখি হয়ে উঠি ।

বেঙ্গালুরের হোয়াইট ফিল্ডে তামিলনাড়ুর ভেলরের
কষ্টকর পথে তুমি হেঁটেছ
আলো-অন্ধকারে আমার জন্যে
আমার একা থাকার অবসরে অসুখে
তোমাকে যখন দেখি পাশে
তখন চারিদিক থেকে আমার সু-সময় আসে
আমার সবটুকু বেঁচে থাকা তোমারই জন্যে ।

আজো তুমি (সুমুকে)

শাহ জামাল উদ্দিন

আমার তুমি আজো সেই ছোট্টপাখি
তোমাকে পরান ভরে দেখি ।

তুমি প্রকৃতির মত সুন্দর তুমি নিরন্তর বয়ে চলা নদী জল
তুমি সৃষ্টির কারুকাজে
হীরের জৌলুশে করো টলমল ।

তুমি যখন শুন্যতায় চেয়ে থাক দুঃখময় জানালা দিয়ে
টিয়াপাখি চমকে ওঠে -
কষ্ট গুলো ধেয়ে আসে আকাশ বেয়ে আমার দিকে !

আমার তুমি আজো সেই ছোট্টপাখি
তোমাকে পরান ভরে দেখি ।

তুমি প্রকৃতির মত সুন্দর তুমি নিরন্তর বয়ে চলা নদী জল
তুমি সৃষ্টির কারুকাজে
হীরের জৌলুশে করো টলমল ।

মনে পড়ে ( সামাকে )

শাহ জামাল উদ্দিন

এই শহরে যখন আমি ভবঘুরে
দুর্দিনে সে খবর রাখে ।

ভয় পেয়েছি জেনে গেলে
দরজায় এসে কড়া নাড়ে
সাহস ভরা কলস নিয়ে ।

আমি যখন অন্ধকারে একলা রাতে
শুকনো পাতার ভরা মাঠে
জেগে থাকি মাঝরাতে
বোনটি আমার জোছনা আনে দু’হাত ভরে ।

খুটিনাটি দুঃখগুলো ভাগ করে সে
বেড়ায় ঘুরে হটাৎ হাওয়ায় রঙিন মাঠে
আলোকিত সব উৎসবে
চেয়ে থাকি মুগ্ধ চোখে ।

এই শহরে যখন আমি ভবঘুরে
দুর্দিনে সে খবর রাখে ।

প্রকৃতির মত সুন্দর

শাহ জামাল উদ্দিন

আমার তুমি আজো সেই ছোট্টপাখি
তোমাকে পরান ভরে দেখি ।

তুমি প্রকৃতির মত সুন্দর
তুমি নিরন্তর বয়ে চলা নদী জল
তুমি সৃষ্টির কারুকাজে
হীরের জৌলুশে করো টলমল ।

তুমি যখন শুন্যতায় চেয়ে থাক
দুঃখময় জানালা দিয়ে
টিয়াপাখি চমকে ওঠে -
কষ্ট গুলো ধেয়ে আসে আকাশ বেয়ে
আমার দিকে !

আমার তুমি আজো সেই ছোট্টপাখি
তোমাকে পরান ভরে দেখি ।

কবি পরিচিতি

BanglaKobita

শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।

১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত

ফেসবুক পেইজ

কবিতা আবৃত্তি