বাংলা কবিতা- কবি শাহ জামাল উদ্দিনের একক কবিতার জনপ্রিয় ও বৃহৎ অনলাইন পোর্টাল। banglakobita.org ওয়েবসাইটটি ২০২৩ সালের জুন মাসে আত্মপ্রকাশ করে।
কবি শাহ জামাল উদ্দিনের কবিতায় বসতি খুব বেশি দিনের না। বছর দশেক হবে তিনি কবিতা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তবু তাঁর কবিতার ভিতর প্রবেশ করলে দেখতে পাই, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, গভীর জীবনবোধ নিয়ে বিস্তীর্ণ ভূগোল তৈরীর রসদ সেখানে। বাংলাদেশে কবিতা লেখকের অসংখ্যতা আছে বটে। তবু প্রকৃত কাব্যধারায় টিকে থাকার পথিকজনের অভাব রয়েছে। শাহ জামাল উদ্দিন টিকে আছেন তার কবিতার সৃষ্টিশীল ধারাবাহিকতা ও অনন্য বিষয়বস্তুকে নানা আঙ্গিকে ধারণ করার মধ্য দিয়ে।
বর্তমান সময়ে বহু বিচিত্র দুর্বোধ্য কাব্য রচনার চলকে এড়িয়ে কবি নিজের অন্তরের গভীর ভাষ্যকে সাবলীল গদ্য ও নানা ছন্দের ভাষায় কাব্যিক রূপ দিতে সিদ্ধতা অর্জন করেছেন ইতিমধ্যে। তাঁর আপাত সরল কিন্তু ভাবসমৃদ্ধ বাক্যধারা পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। কবির দেখা কাছের মানুষজন তাদের অর্ন্তরজগত এসব নিয়ে আমাদের জটিল ঘটনাবহুল জীবনের ড্রামা চলছে অবিরত। কবির অন্তর্দৃষ্টিতে ধরা পড়ে এর প্রকৃত সত্য রূপটি। কখনো মা, মাতৃভূমি, সংসার, সন্তানসন্ততি, আত্মীয় কুটম্ব নিয়ে সমাজের কত রকম কৌনিক জ্যামিতি। এমন বিচিত্র জীবনের মধ্যে কবির বসবাস সে এক কঠিন পরীক্ষা । কবি শাহ জামাল উদ্দিন দার্শনিক দৃষ্টিতে তার কবিতায় উন্মোচন করেন প্রকৃত অর্থপূর্ণ সরল জীবনের পথ নির্দেশ। গভীর স্মৃতি ভারাক্রান্ত হন কখনো কখনো। হৃদয়কে উষ্ণ ,মধুর, তিক্ত, কখনো প্রেমের ভাবাবেশে কবিতার মঞ্জুরী ফুটিয়ে তোলেন। তিনি তাঁর কবিতায় উপমা, চিত্রকল্প, উৎপ্রেক্ষা ইত্যাদি বৈশিষ্ট দ্বারা তুলে ধরেন আয়নার প্রতিবিম্বস্বরূপ দেশ ও মানুষের চিত্র। তিনি প্রতিনিয়ত নতুন কবিতা সৃষ্টি রত। সেসব সৃষ্টির প্রকাশ সংকলন আমাদের বলে দেবে কবির পরিপূর্ণতার দিকবলয় কতদূর।
জীবন মানেই স্বপ্নময় সত্তা। স্বপ্নহীন মানুষ স্থবির, নিরুপায় মরা নদী। যার আশা নেই তার স্বপ্ন নেই, তার ভবিষ্যতও নেই। তাই মানুষ স্বপ্ন দেখে, ঘুমের স্বপ্ন, জীবনের লক্ষ্যের স্বপ্ন এবং অলীক স্বপ্ন। স্বপ্ন চাকায় ভর করে ঘড়ঘড় আওয়াজ তুলে অন্তরে লালিত কামনা বাসনা বা ইচ্ছা পূরণের পথ অম্বেষনে চলে জীবন পথিক মানুষ। এই মানুষগুলোই স্বপ্ন দেখে দেখে খুঁজে ফিরে জীবনের লক্ষ্য এবং রচনা করতে চায় বিশ্বাসের ভীত। উপলব্ধি করছি মানুষের চিন্তা ও কল্পনার জগৎ ক্রমশই সম্প্রসারিত হচ্ছে, সম্প্রসারিত হচ্ছে শিল্প-সাহিত্যের জগতও। সাহিত্য অঙ্গনে তেমনি একজন সদা হাস্য উজ্জ্বল, সমাজসংস্কারক, দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী কবি শাহ জামাল উদ্দিন। নিভৃতচারী এই কবি শাহ জামাল উদ্দিনের জন্ম ১৯৬২ সালের পহেলা জানুয়ারী। পিতা মরহুম শাহ নাসির উদ্দিন, মাতা মরহুমা আঞ্জুমনারা, এক পুত্র ও তিন কন্যার জনক। পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার অর্ন্তগত দিকনগর গ্রামে। বর্তমানে ফরিদপুর জেলা সদরের ৪০, খান বাহাদুর ইসমাইল রোড, চরকমলাপুর এ নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। ১৯৭৭ সালে এস এস সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুর থেকে এইচ, এস. সি পাশ করে ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করে বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেছেন।
২০০৫ সালে তার শরীরে হজকিং লিম্ফোমা (ক্যান্সার) ধরা পরে। তামিলনাড়–র ভেলরে চিকিৎসা করার পর মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবাণীতে ২০০৬ সালে তার রোগমুক্তি হয়। এরপর নিজ উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করেন এবং পাশাপাশি ১৪২০ সাল থেকে কবিতা লেখা শুরু করেন। ইতিমধ্যে তাঁর দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ “স্বপ্নের সিড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা”। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থটি “ছুয়ে দেখি ভোরের নদী”। এই কাব্যগ্রন্থে মোট ৭২টি কবিতা স্থান পেয়েছে। একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো কবিতাগুলো সব ছোট ছোট, এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করার মতো। ভাষা, উপমা কথন যে কখন পাঠককে সমাপ্তি রেখায় টেনে নিয়ে যাবে তা টেরই পাওয়া যাবে না। কবিতা ভাবনার সকল বাস্তবতা মুখোমুখি করে তিনি আদর্শ সমাজ গঠনের বাস্তব চিত্র এঁকেছেন যা অধ্যয়নের যে কোন পাঠকের মনে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জোগাবে। এজন্য কবিতার কিছু আংশিক পঙক্তি না লিখলেই নয়। যেমন-
“ মাঝে মাঝে মনে হয় আমি আকাশে ভূবনচিল
সকলে দেখে মধ্যআকাশে স্বপ্নে রঙিন।”
-ভুবনচিল (পৃষ্ঠা : ৭৪ )
কবি শাহ জামাল উদ্দিন বাস্তবতার কাছে বরাবরই নতজানু। তাই হয়তো তার সমস্ত কবিতায় সাবলীল ভাবেই উঠে এসেছে। সুদূর ভবিষ্যতকে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে রূপদান করার সফল প্রয়াস।
ভেসে বেড়াই জীবন সমুদ্রে
ভাগ্যের নৌকায় চড়ে
মাঝে মাঝে ঝড় আসে ঢেউ আসে
কে যেন ভাসায়, ডুবায় এই আমাকে।
জীবনসমুদ্রে (পৃষ্ঠা : ২৫)
নিসর্গ ও মানুষের ভেতর বাহিরেও ঢুকে গেছেন কবি। তাঁর কল্পনার বিশালতা নিয়ে, স্মরণ শক্তির প্রখরতা নিয়ে, কাব্যবিলাসী শব্দচয়নের মধুরতা নিয়ে। জীবন বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার এমন মিলনে কবিতা হয়ে উঠেছে জীবনমুখি সময়ের দলিল।
কবি তাঁর জীবনের প্রতি অপার মমত্ববোধ। এজন্য তার অধিকাংশই কবিতা দেশ, মাটি ও মানুষ সংক্রান্ত আর সুখপাঠ্য। তারই একটি চরম দৃষ্টার্ন্ত।
“ আমি ভাবলাম আমার এ হৃদয় কত বড়,
আমি দেখলাম আমার এ দেশ যত বড়।”
“ কখনো জলের ভেতর যদি
শাফলা অথবা রাজহাঁস হও তুমি
আমি ঝিলমিলে বুদ বুদ হয়ে
যাবো তোমার কাছে কতটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ।”
-আমি যদি না আসি (পৃষ্টা : ৩৯)
এ লেখার কোন ক্লান্তি নেই, অবসন্ন হওয়ারও ফুসরতও নেই। যেমন মাটির গন্ধ খুঁজে পেতে কবি শাহ জামাল উদ্দিনের অক্লান্ত পরিশ্রম। দরদমাখানো আরেকটি কবিতার পঙক্তি। যেমন-
আমি সকাল দেখি
দেখি আলো আর অন্ধকারের মিতালী।
পাখিরা জেগে ওঠে
মাটিরও ঘুম ভাঙে
সবুজ পাতা নড়ে অকারণে।
পাতার সাথে টিয়া পাখি মিশে থাকে কামরাঙা ডালে
হরতকি আমলকি পেয়ারা গাছে
নানান পাখি ডাকে।
-সকাল দেখি ( পৃষ্টা : ৭৮)
কবি শাহ জামাল উদ্দিন সব সময় স্বপ্নচারিতায় ভেসে বেড়াতে পছন্দ করেন। আসলে এক লেখকের কাছে দেশকালের কোন সীমারেখা নেই। দেশ, দেশের মানুষ, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, ভালোবাসা তাঁর লেখার বিষয়বস্তু। সামাজিক অবক্ষয় ও তাঁর চোখ এড়ায়না। প্রতীক, চিত্রকল্পসহ বিবিধ অলঙ্কার সহজেই নজর কাড়ে। এ কবিতার একটি সুন্দর আবেগতাড়িত চয়ন।
“এখন আবার ইচ্ছে করে ঝড়ের দিনে আম কুড়াবার
মায়ের হাতের শীতের পিঠায় ভাগ বসাবার
বরই তলায় প্রেম কুড়াবার।”
“এখন আবার ইচ্ছে করে জল ছিটিয়ে মজা করার,
বর্ষা হলে ঘোলাজলে মজা করে সাঁতার কাটার
আবার তাদের প্রেমিক হবার।” (পৃষ্ঠা : ৫৮)
কবির অধিকাংশ কবিতাই জীবনের চিরচেনা, জীবনযুদ্ধের পটভূমিকে অবলম্বন করে গড়ে উঠেছে। কবি শুধু তাঁর মন ও মননের দুঃখ কষ্টগুলোকে এক মুখো সূতায় গেঁথে মালা তৈরী করেছেন তাঁর লেখনীতে।
“ আমি যদি না থাকি
গিরিবাজ কবুতর আকাশে দেবে না আর ডিকবাজি
তখন কে দেবে হাততালি স্পন্দিত চোখে।
আমি যদি না থাকি
যখন পার হবে তুমি কষ্টের নদী
তখন কে হবে তোমার নৌকার মাঝি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। ”
-আমি যদি না থাকি।’(পৃষ্ঠা : ৭৬)
এমন সুন্দর কথামালা যেন উৎকৃষ্ট অনিবার্য ও অপরিহার্য। এমন সহজ সরল উচ্চারণ আর কি হতে পারে। আসলে কোন কবিতাই অ্যাবস্ট্র্যাক্ট যন্ত্রের কাছে দায়বদ্ধ নয়। সব কবিতাই উত্তাল স্রোতের মতো গতিশীল। কবিতা কখনো পাঠকে নিয়ে যায় দূরবর্তী বন্দরে, আবার ফিরিয়ে আনে তার নিজস্ব ভূবনে, নতুন আলোয়। সত্য বলতে কি মানুষকে সুন্দরের দিকে, শিল্পের দিকে, নান্দনিকতার দিকে, কল্যাণের দিকে এগিয়ে নিতে হলে প্রতিটি ক্ষণেই প্রয়োজনমুখী কর্ম করতে হয়। তেমনি কবি তার প্রাতিষ্ঠানিক কর্মের পাশাপাশি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। তাছাড়াও কবি শাহ জামাল উদ্দিন অনলাইনে ( ফেজবুক, ফেজবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও নিজস্ব ওয়েব সাইট )
https://www.facebook.com/shahjamaluddin20?mibextid=ZbWKwL
https://www.facebook.com/kobishahjamal?mibextid=ZbWKwL
https://youtube.com/@banglakobita2024?feature=shared
http://banglakobita.org/
নিয়মিত তাঁর লেখা স্বরচিত কবিতা পোষ্ট করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য আবৃত্তিকার বাচিক শিল্পী মাহিদুল ইসলাম, মাহী ফারহানা, শিরীন জাহান, সঙ্গিতা চৌধুরী, লাইলা মুন্নি, শারমিন তম্বীসহ আরো অনেক আবৃত্তিকার তাঁর লেখা কবিতা আবৃত্তি করে পাঠকের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সব মিলিয়ে নির্মাণ করে যাচ্ছেন শিল্প-সাহিত্যের অবিস্মরণীয় সৌধ। আলোকময় সুন্দর ধরণী গড়ার ব্রতই কবির মুলমন্ত্র।
পরিশেষে বলতে হয়, সমকালীন বাস্তবতা, আঙ্গিকের অভিনবত্ব, কৌশলী উপস্থাপন, শব্দের গাঁথুনি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। নিঃসন্দেহে দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। যেন কাব্যগ্রন্থটির আরেকটি বাড়তি মাত্রা যুক্ত হয়েছে। উৎসর্গ করা হয়েছে প্রিয় বোন খালেদা সিদ্দিকী নীরাকে। অপসেট কাগজে ঝকঝকে ছাপা ও বাঁধাই চমৎকার হয়েছে। সামান্য বানানের ক্রটি থাকলেও জনান্তিক প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত ৮০ পৃষ্টার এই কাব্যগ্রন্থটির মূল্য সহনীয়।
কামনা করি- কাব্য চৈতন্য-শিল্পবোধ, নন্দনতত্ব, বহুমাত্রিক উপমা, উৎপ্রেক্ষা আর স্বতন্ত্র শিল্পগুণে শাহ জামাল উদ্দিনের কাব্যগ্রন্থটি “ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী” আরো দ্যুতিময় হয়ে উঠুক পাঠক পাড়ায়। সৃষ্টিশীলতার নৈসর্গিক ও শৈল্পিক পাখা মেলুক পাঠকের মনে হৃদয়ে। জয় হোক তাঁর স্বপ্নের, জয় হোক তাঁর প্রতিভার, জয় হোক সকল পাঠকের। সেই সাথে কবির সুদীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করি।
-মাজেদুল হক
শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।
১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত
আকাশ
তারিখ: 2024-02-11
মনোমুগ্ধকর কবিতা। অসাধারন লাগে কবিতাগুলো, প্রতিদিনের পাঠক।
শাহ জামাল উদ্দিন
তারিখ: 2024-02-11
আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে কবিতাগুলো।
Shimul Mondol
তারিখ: 2024-02-12
অনেক সুন্দর লেগেছে কবিতাগুলো। সত্যি আপনি দারুন প্রতিভার অধিকারী। আপনার কাছ থেকে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা পেতে চাই।
মাহিদুল ইসলাম, আবৃত্তি শিল্পী
তারিখ: 2024-03-13
আমি কবি শাহ জামাল উদ্দিনের ৩০টা কবিতা আবৃত্তি করে তার সম্বন্ধে যে অভিজ্ঞতা হলো তাতে বলা যায় তিনি একজন প্রকৃতি ও প্রেমের কবি। কবিতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য আঙ্গিকে, তাঁর সকল কবিতাই আকারে ছোট। কিন্তু গভীরতা আছে প্রতিটি কবিতায়। তাঁর কবিতা আপনাকে নষ্টালজিক করে তুলবে। আপনাকে মুহূর্তে ছুটিয়ে নিয়ে যাবে আপনার ফেলে আসা দিনের কাছে, নিসর্গের কাছে। আর খুব গভীরে পাবেন নদীর তলদেশের স্রোতধারার মতো এক নিরব বহতা প্রেম।
রুশেমা বেগম
তারিখ: 2024-03-13
শাহ্ জামাল উদ্দিন মৌলিক ভাব ও বক্তব্যের এক ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী কবি। তাঁর কবিতার ভাষা সহজ, সরল, সাবলীল, অবাধগতি। মর্মে লুকিয়ে থাকা জীবনের অগণিত বিচিত্র সব অনুভূতির স্বতঃস্ফুর্ত সহজ প্রকাশ। জন্মসীমার আলো ও অন্ধকারের নানাবিধ চিত্র, দৃশ্য সব মিলে তাঁর কবিতার শরীর। এতে শিশিরসিক্ত শিউলির সুরভিত ভালোবাসা, সুরভিত মায়াময় স্নিগ্ধতা মিশানো। কখনো আবার প্রখর উদ্যম আর মর্মস্পর্শী মনন। মেঘমেদুর আকাশের বৃষ্টির মত, সমুদ্রের তরঙ্গের কলধ্বনির মত মন মাতানো উচ্ছ্বল তাঁর ছোট্ট ছোট্ট কবিতাগুলি - পাঠক ও স্রোতার হৃদয়ে বিস্ময় জাগরুক। এমন অকপট, থরথর অশ্রুবিন্দুর মত অপরূপ সৃষ্ট তাঁর কাব্য বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিতাকে পৌঁছে দেবে নতুন দিগন্তে।
Kartik biswas
তারিখ: 2024-10-01
কবিতা পড়তে ভালে লাগে