তুমি চলে গেলে

শাহ জামাল উদ্দিন

আজ হতে পথে পথে ঘুরে ঘুরে
তোমার গন্ধ নিবো দিনের মনোরম বাতাসে
রাতের বারান্দায় খুঁজবো তোমাকে
অল্প আলোতে
সব বাঁধা উপেক্ষা করে দীর্ঘ রাত জেগে ।

ডুব দিবো কোন পূর্নিমার স্নিগ্ধ ছায়ার বুকে
তোমাকে ভেবে
যদি আকাশে ঘরবাঁধো তবু যাবো সেখানে
খুঁজতে তোমাকে ।

তুমি চলে গেলে মন শুধু কেঁপে কেঁপে ওঠে
চরিদিকে শুন্যতা
আর শুনি পাখিদের কান্না ।

আমার ঘোর দুঃসময়ে
অযাচিত উপদেশ না শুনে
তুমি চলে এসেছিলে অজানা পথ ধরে
আমার অসমাপ্ত কবিতা লিখে দিতে ।

হয়তো হারিয়ে ফেলবো নিজেকে
অসময়ে মরুঝড়ে কিছুদিনে
তোমাকে পড়ে মনে কবে আর দেখা হবে ।

আমারও ছিলো সে

শাহ জামাল উদ্দিন

অতিতের ফাঁক-ফোঁকরে তাকে খুঁজি
মাঝে মাঝে অলৌকিক ডাক শুনি
মাঝে মাঝে মনে হয়
তারকাঁটা বেড়া ভেদ করে ছুঁয়ে আসি ।

মনে পড়ে একসাথে কতদিন আমরা থেকেছি
গোল বারান্দার দোতালা বাড়ি
তাকে মনে করে খাতা খুলে গোলাপ এঁকেছি
রজনীগন্ধা গাছগুলোতে পনি ঢেলেছি
অথচ সে কখনো করুনায় আর্দ্র হয়নি ।

তারপর তার অভাব নিয়ে
এতটা বছর পথে পথে হেঁটেছি
কত কত দুঃখ নিয়ে এখানে এসেছি
বুকের ভেতর এখনো জমানো এতদিনের
কত হাহাকার তাকে কাছে পাবার ।

তার ছিল তখন অহংকারের অলংকার
আর আমার ভীরু সৌন্দর্য্যের
চার পাশে অন্ধকার
কেউ জানল না সেও ছিল
আমার ভালোবাসার ।

ঘৃনা

শাহ জামাল উদ্দিন

ভালোবাসার পুকুরে আমার পুরনো প্রেম
সোনালি রূপালি মাছের মত মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে
সেইসব সবুজ মেয়ে
কখনো দেখি তাদের বিবর্ন ধূসর ঘাসের মত
চেয়ে থাকে আকাশের দিকে ।

অন্ধ পাখির মত সেই কবে থেকে তারা
আছে চোখ বন্ধ করে
একবারও তাকিয়ে দেখেনি আমাকে গোপন পথে ।

এখনো সেই নামগুলো ঝলমল করে
ভিজে অন্ধকারে
তবু টানটান নিমগ্নতায় ঘৃনা ছড়ায়
তাদের উদ্ধত মুখে আমার ভেতর থেকে ।

এড়ানো যায়না এ দুঃখকে
প্রতিদিন কত বেদনা জন্ম নেয় আমার বুকে
প্রকৃতির ভরা উৎসবে
যখন আমি ফিরে যাই অতিতের গ্রামে ।

একসাথে

শাহ জামাল উদ্দিন

অতিতের ফাঁক-ফোঁকরে তাকে খুঁজি
ইচ্ছে হয় ছুঁয়ে আসি
মাঝে মাঝে অলৌকিক ডাক শুনি ।

মনে পড়ে একসাথে কতদিন আমরা থেকেছি
গোল বারান্দার দোতালা বাড়ি
তাকে মনে করে খাতা খুলে গোলাপ এঁকেছি
রজনীগন্ধা গাছগুলোতে পনি ঢেলেছি
অথচ সে কখনো করুনায় আর্দ্র হয়নি ।

তারপর তার অভাব নিয়ে এতটা বছর
পথে পথে হেঁটেছি
কত কত দুঃখ নিয়ে এখানে এসেছি
বুকের ভেতর এখনো জমানো কত হাহাকার
তাকে কাছে পাবার ।

তার ছিল তখন অহংকারের অলংকার
আর আমার ভীরু সৌন্দর্য্যের চার পাশে অন্ধকার
কেউ জানল না
সেও ছিল আমার ভালোবাসার ।

কবি পরিচিতি

BanglaKobita

শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।

১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত

ফেসবুক পেইজ

কবিতা আবৃত্তি