বিষয় শ্রেনী

সে এখন কবিতা বন্ধু আমার

শাহ জামাল উদ্দিন

যে ছিল সময়ের কবুতর ঘুরে বেড়াতো এঘর ওঘর
এখন সে চলে গেছে দুরে ।

যখন অতিতে যাই ফিরে
তার সেই বাক্ বাকুম ডাক শুনতে পাই বারে বারে ।

হটাৎ রাগ হলে চুলের ফিতা দিত খুলে
ছোট্ট মেয়ে
এখন সে যদি দেখে
আমার কষ্টে ঘাম জমে গেছে গায়ে
ছোট বোন --
হেসে হেসে দেয় মুছে নিজে এসে ।

জানালার কানেকানে আমার কবিতার কথা বলে সে ।

যে ছিল সময়ের কবুতর
সে এখন কবিতা বন্ধু আমার ।

নষ্ট মন নিয়ে জেগে উঠি সকালে

শাহ জামাল উদ্দিন

হিজিবিজি জীবনে এলোমেলো পথচলা
আর স্বপ্নগুলো যেন
পুকুরের ছিন্নভিন্ন শেওলা ।

কোন মতে রাত পোহালে
নষ্ট মন নিয়ে জেগে উঠি সকালে
তারপর ঘটে শুধু পরাজয়
জীবনের থৈ থৈ ঠিকানায়।।

প্রতিদিন নৌকা ডুবে স্বপ্ন বোঝাই
ঘাটে ঘাটে
ক্লান্তি আমার আটকে থাকে শরিরটাতে
কষ্ট লাগে ।

জীবনের শেষ দিকে
ডানে বামে যাবো আমি কোন দিকে
রক্তচক্ষু চারদিকে
ভয় দেখায় সকলে চোখ তুলে ।

দারিদ্র্যের অভিমানে শুধু কান্না আসে
এই হিজিবিজি জীবনে ।

তুমি প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াবে

শাহ জামাল উদ্দিন

আঠারো বছর তোমাকে রেখেছি
স্পর্ধার তিলক পরিয়ে
ঘরে বাইরে যখন যেখানে ।

কখনো ভাবনার সমুদ্রে নৌকার মাস্তুলে
কখনো স্বপ্নের আকাশে
তারাদের মাঝে
লতার পাতার মতন সাজিয়েছি
চিন্তার ডালে ডালে ।

হাতের মুঠোর ভেতর রেখেছি
জোনাকির মত করে
জোছনা রাতের তারা নিভে গেলে
আলো দেখবো বলে ।

তুমি প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াবে
দিগন্ত থেকে দিগন্তে আমাকে পড়বে মনে ।

কাঠের টেবিল মনে করে

শাহ জামাল উদ্দিন

কত অবহেলা করেছে আমাকে
সেই বাড়ির ছেলে
মেয়েটাও একদিন গোপনে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ছিল
কাঠের টেবিল মনে করে ।

বেদনার কুয়াশায় ভিজে গেছি অবিরাম রাতে
জীবনের অলিন্দে দাড়িয়ে
অন্তরালে কত ঝড় বয়ে গেছে
সেই সব দিনে ।

সব অপমান একগুচ্ছ অন্ধকারের মত
জমে আছে আজও নির্জন বুকে ।

কত অবহেলা করেছে আমাকে
সেই বাড়ির ছেলে
মেয়েটাও একদিন গোপনে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ছিল
কাঠের টেবিল মনে করে ।