জন্মদিন ( আয়শাকে)

শাহ জামাল উদ্দিন

তোমরা যারা একে একে গেছ চলে
আমার জীবন থেকে সবুজ মেয়ে
অংক করে
আমি ভুলে গেছি জোড় করে তোমাদেরকে
ভেবেছিলাম জীবনের সকল বসন্তে
অদল-বদল করে নিবো ভালোবাসা
তোমাদের সাথে।

তোমরা ভেবেছিলে আমি ডুবে যাবো অন্ধকারে
আমার নাম মুছে যাবে ধুলোবালিতে
আমি দেখি তোমাদের বিবর্ন মুখখানি
স্বপ্নের ভিতরে
ফিরে ফিরে তাকাও এদিকে সেদিনের পর থেকে ।

আমি আবার সদ্যজাত হয়েছি যার স্পর্শে
তার জন্ম হয়েছিল ৩রা এপ্রিলে
আমার নারকীয় জীবনে
এসেছিল হালকা বাদামি শরীর নিয়ে
আমাকে বদলে দিতে তার যাদু স্পর্শে ।

আমার নিয়তি বসবাস করে তার ভিতরে
আমার আকাঙ্ক্ষাগুলি
তাকিয়ে থাকে তার দিকে
আর আমি আমার কবিতার লাবন্য দিয়ে
ঢেকে রাখি তাকে
আমার হলদে পাখি সে ।

ছোট্ট পাখি ( সুমুকে )

শাহ জামাল উদ্দিন

আমার তুমি আজো সেই ছোট্টপাখি
তোমাকে পরান ভরে দেখি ।

তুমি প্রকৃতির মত সুন্দর
তুমি নিরন্তর বয়ে চলা নদী জল
তুমি সৃষ্টির কারুকাজে
হীরের জৌলুশে করো টলমল ।

তুমি যখন শুন্যতায় চেয়ে থাক দুঃখময় জানালা দিয়ে
টিয়াপাখি চমকে ওঠে -
কষ্ট গুলো ধেয়ে আসে আকাশ বেয়ে আমার দিকে !

আমার তুমি আজো সেই ছোট্টপাখি
তোমাকে পরান ভরে দেখি ।

তুমি প্রকৃতির মত সুন্দর তুমি নিরন্তর বয়ে চলা নদী জল
তুমি সৃষ্টির কারুকাজে
হীরের জৌলুশে করো টলমল ।

সুধা মিয়া (পরমানু বিজ্ঞানী ড.এম.এ. ওয়াজ�

শাহ জামাল উদ্দিন

তোমার নাম লেখা আছে শতাব্দীর মাইলফলকে
এই লাল সবুজের দেশে
অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ।

তুমি আছো আমার দেশের
ফসলের ঘ্রাণে
সাঁওতালী পাহাড় থেকে সমতল গ্রামে
উদার আকাশের আলোকিত নক্ষত্রে ।

স্নিগ্ধ ভোরের নম্রতায় -
রজনীগন্ধার শুভ্রতায় খুঁজে পাই তোমায় ।

কবুতর ( সামাকে )

শাহ জামাল উদ্দিন

যে ছিল সেই সময়ের
কবুতর ঘুরে বেড়াতো এঘর ওঘর ।

এখন সে চলে গেছে দুরে
বাক্ বাকুম ডাকতো কত বারে বারে
এখনো তার সেই ডাক শুনে মাঝে মাঝে
যাই চলে সুদূর অতীতে ।

হটাৎ রাগ হলে চুলের ফিতা দিত খুলে
সেই ছোট্ট মেয়ে ।

এখন যদি দেখে সে-
আমার কষ্টের ঘাম জমে গেছে গায়ে
ছোট বোন -
হেসে হেসে দেয় মুছে নিজে এসে ।

জানালার কানেকানে
আমার কবিতার কথা বলে সে ।

যে ছিল সেই সময়ের কবুতর
সে এখন কবিতা বন্ধু আমার ।

কবি পরিচিতি

BanglaKobita

শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।

১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত

ফেসবুক পেইজ

কবিতা আবৃত্তি