এখনই রাজনীতি করার সময়

শাহ জামাল উদ্দিন

এখনই রাজনীতি করার সময়
ঈর্ষা নয় বিজ্ঞাপনে নয়
আলিঙ্গনে মানুষের হবে জয় ।

শুধু চিৎকার চেচামেচি
পুরনো সাইনবোর্ড নিয়ে মাতামাতি
এইসব নয় রাজনীতি ।

শয়তানের মত মুখ করে ভেংচি কাটা
প্রতিবাদমুখর মানুষের
চিৎকার শুনতে না পাওয়া
প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে পথে পথে
ব্যারিকেড দেওয়া
লুটপাটের ম্যানেজারী করা
লোক বুঝে সুযোগ করে দেওয়া
একে বলেনা রাজনীতি করা।

মানুষের হাত থেকে যখন
সবকিছু খসে খসে পড়ছে
ঘরবাড়ি বদলে গেছে
ক্ষুধা দারিদ্র্যতায়
আর যখন কান্না আসে অনিচ্ছায়
হৃৎপিন্ড ভরা মৃত্যু ভয়
এখনই রাজনীতি করার সময় ।

মানুষের ভেতরের অসীম মানুষকে
জাগানোর এটাই সময়
দস্যুর মত করোনার অসম্ভব থাবা থেকে
আতঙ্কিত প্রহর থেকে বাঁচানোর এটাই সময়
এখনই রাজনীতি করার সময় ।

করোনা যুদ্ধ

শাহ জামাল উদ্দিন

কতদিন আমি ঘরের মধ্যে আছি
তবু ওরা বলে আমি যুদ্ধ করে যাচ্ছি
চারিদিকে এত ক্ষয়ক্ষতি
শুধু ভয়ের ভেতর জড়োসড়ো হয়ে থাকি ।

পৃথিবীর সবদেশ ভীত আজ
একতরফা যুদ্ধ ঘোষনা করোনার
প্রতিদিন মানুষ হত্যা করছে হাজার হাজার
কষ্ট আছে ঘরে থাকার
আর খাবারের হাহাকার ।

আমাদের অনেক অবসর
বন্ধ দুয়ার যুদ্ধের সাজে বাইরে পুলিশ ডাক্তার
আরো আছে দেশ প্রেমিক হাজার হাজার ।

কেউ করুনায় আর্দ্র হচ্ছে
কেউ বেদনায় ভেঙে পড়ছে
কুকুরগুলো হরিনের মত ব্যবহার করছে
মানুষের সুগন্ধ বেরুচ্ছে
প্রেম ভালোবাসায় উদরাতায়
লাশগুলো নিচ্ছে তুলে
চারিদিক থেকে মৃত্যু আসছে ।

কর্মহীন মানুষের বিক্ষোভ
অনাহার বাড়ছে করোনা যুদ্ধে
লকডাউন কোয়ারেনটাইন আইসোলেশন
আইসিইউ ভেন্টিলেশন থেকে
সবাই ফিরতে চায় ঘরের বাহিরে সব ক্ষত মুছে ।

তারপর মানুষ বিশুদ্ধ বিনয়ী হবে যুদ্ধ শেষে
ফিরে যাবে যে যার গন্তব্যে ।

কবি পরিচিতি

BanglaKobita

শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।

১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত

ফেসবুক পেইজ

কবিতা আবৃত্তি