সহজেই মরে যায়

শাহ জামাল উদ্দিন

আকাঙ্খা নিয়ে বাঁচতে থাকা মানুষ
অপার বেদনায় আচ্ছন্ন
হয়ে থাকা মানুষ
সহজেই মরে যায় বারুদ আর বুলেটের ধোঁয়ায়
এ দেশে অধিকার হারায়

রাজপথে ফুটপাতে বারান্দায় ঘরের জানালায়
দাঁড়িয়ে যারা চেয়েছিল অধিকার
তারা হয়ে গেলো বুলেটের সহজ শিকার

তরুনেরা জাগ্রত হলে হানাদার মাথাচাড়া
দিয়ে ওঠে
আমাদের এ শান্তিপ্রিয় দেশে
যারা হাতের মুঠোয় বয়ে বেড়াতো স্বপ্ন আর স্বাধীনতা
ওরা তাদেরই করলো লাঠিপেটা
ঘাতকেরা করছে না কোন সুযোগের হাতছাড়া

ভরছে তারা জেলখানা তবু শকুনেরা থামে না
বায়ান্ন বছরের স্বাধীনতা
আমাদের দিনগুলো নিস্ফল হয়ে গেল তুমি দেখলেনা

নিজের দেশের মাটি স্পর্শ করে বেচেঁ থাকতে
চেয়েছিল যে যুবক
তাকে মাটি চাপা দিয়ে দিলো স্বৈরশাসক

বিভ্রান্তির জটিল ভুবনে এমনই হয়
হত্যাকারীরা যখন দেশ চালায়
প্রতিবাদ প্রতিরোধ করলে
তারা লেজ গুটিয়ে পালায়।

অধিকার হারায়

শাহ জামাল উদ্দিন

আকাঙ্খা নিয়ে বাঁচতে থাকা মানুষ
অপার বেদনায় আচ্ছন্ন
হয়ে থাকা মানুষ
সহজেই মরে যায় বারুদ আর বুলেটের ধোঁয়ায়
এ দেশে অধিকার হারায়

রাজপথে ফুটপাতে বারান্দায় ঘরের জানালায়
দাঁড়িয়ে যারা চেয়েছিল অধিকার
তারা হয়ে গেলো বুলেটের সহজ শিকার

তরুনেরা জাগ্রত হলে হানাদার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে
আমাদের এ শান্তিপ্রিয় দেশে
যরা হাতের মুঠোয় বয়ে বেড়াতো স্বপ্ন আর স্বাধীনতা
ওরা তাদেরই করলো লাঠিপেটা
ঘাতকেরা করছে না কোন সুযোগের হাতছাড়া

ভরছে তারা জেলখানা তবু শকুনেরা থামে না
বায়ান্ন বছরের স্বাধীনতা
আমাদের দিনগুলো নিস্ফল হয়ে গেল তুমি দেখলেনা

নিজের দেশের মাটি স্পর্শ করে বেচেঁ থাকতে
চেয়েছিল যে যুবক
তাকে মাটি চাপা দিয়ে দিলো স্বৈরশাসক

বিভ্রান্তির জটিল ভুবনে এমনই হয়
হত্যাকারীরা যখন দেশ চালায়
প্রতিবাদ প্রতিরোধ করলে
তারা লেজ গুটিয়ে পালায়।

এই সেই আমার গ্রাম

শাহ জামাল উদ্দিন

এই যে ভাই, আপনাদের কালো গরুটা
এখনো কি আছে গোয়ালঘরে
এখনো কি পাকা তাল পড়ে শব্দ করে ঘোলা পানিতে
এখনো কি বর্ষারদিনে হাঁটুপানি হয় উঠোনে
ধানখেতে যাওয়া কি যায় নৌকায়
ওরা কি এখনো মাছ ধরে বাড়ি ফেরে সন্ধ্যায়, বর্ষায়।

বরইগাছ শিমুলগাছ হিজলগাছগুলো এখনো কি দাড়িঁয়ে আছে পুকুরপাড়ে
গোল্লাছুট খেলার মাঠ আজো কি ভরপুর থাকে
শিশুদের কোলাহলে ।

এখনো কি ঢেঁকির শব্দ বিয়ে বাড়ির মাইকের গান
ভেসে আসে গভীর রাত্রিতে দূর থেকে
গোলাভরা ধান শামুক কাদামাটি পুঁইয়ের মাচা বসন্তদিনের বাতাস শিউলি ফুল
দেখে এসেছিলাম শৈশবের মুগ্ধ বিকেলে।

এখনো কি তারা চুল বাঁধে উঠনে বসে
পথের দিকে চেয়ে চেয়ে
অনুসরণ করতো আমাকে কত পতাকুড়োনি মেয়ে
ঘরে ফেরার পথে
আমার সেইসব দিন-রাত আজো মনে পড়ে।

গোল্লাছুট খেলার মাঠ এখনো কি ভরপুর থাকে
শিশুদের কোলাহলে ?

করোনা

শাহ জামাল উদ্দিন

এখনই রাজনীতি করার সময়
ঈর্ষা নয় বিজ্ঞাপনে নয় আলিঙ্গনে মানুষের হবে জয় ।

শুধু চিৎকার চেচামেচি পুরনো সাইনবোর্ড নিয়ে মাতামাতি
এইসব নয় রাজনীতি ।

শয়তানের মত মুখ করে ভেংচি কাটা প্রতিবাদমুখর মানুষের
চিৎকার শুনতে না পাওয়া
প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে পথে পথে ব্যারিকেড দেওয়া
লুটপাটের ম্যানেজারী করা লোক বুঝে সুযোগ করে দেওয়া
একে বলেনা রাজনীতি করা।

মানুষের হাত থেকে যখন সবকিছু খসে খসে পড়ছে ঘরবাড়ি বদলে গেছে
ক্ষুধা দারিদ্র্যতায় আর যখন কান্না আসে অনিচ্ছায়
হৃৎপিন্ড ভরা মৃত্যু ভয় এখনই রাজনীতি করার সময় ।

মানুষের ভেতরের অসীম মানুষকে জাগানোর এটাই সময়
দস্যুর মত করোনার অসম্ভব থাবা থেকে অাতঙ্কিত প্রহর থেকে বাঁচানোর এটাই সময়
এখনই রাজনীতি করার সময় ।

কবি পরিচিতি

BanglaKobita

শাহ জামাল উদ্দিন ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারী ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামে। কিশোর বয়সে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কয়েক বছর তিনি কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেন।

১৯৭৭ সালে দিগনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি এবং ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ১ম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) পাশ করেন। প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কতিপয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ( হজকিং লিম্ফোমা) আক্রান্ত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় চাকুরী ছেড়ে দেন। বর্তমানে আল্লাহর অপার মহিমায় সুস্থ হয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত তিনি কবি। কবিতা লেখা তার পেশা নয়-নেশা। বর্তমানে তিনি নিরন্তর লিখে চলেছেন। “ স্বপ্নের সিঁড়ি আমার প্রথম ভালোবাসা ” এবং “ ছুঁয়ে দেখি ভোরের নদী ” তার প্রকাশিত গ্রন্থ। এছাড়াও কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশের পথে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন এবং কতিপয় সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত

ফেসবুক পেইজ

কবিতা আবৃত্তি